কালেরকন্ঠ : কারো মুখে মধু খই খই আঁরে বিষ খাওয়াইলা, কারো কাছে মধু হই হই আঁরে বিষ খাওয়াইলা, কেউ বলেন মধু কইকই আঁরে বিষ খাওয়াইলা। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান বলে এমনটা হয়। অনেকে শব্দটি ধরতে পারে না। ‘মধু খই খই আঁরে বিষ খাওয়াইলা, কার কারণে ভালোবাসার দাম ন দিলা। কোন দোষকান পাই ভালোবাসার দাম ন দিলা। ‘
কিছুদিন আগে কক্সবাজারের সৈকতের কিশোর জাহিদের কণ্ঠে গাওয়া গানটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। আর এরই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। গানটিকে নতুন ভাবে গাইয়ে ওই চলচ্চিত্রের আইটেম গান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন জসিম উদ্দিন জাকির।
মূল গানকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। একই সাথে গানের সাথে দৃশ্যায়নে অসংলগ্নতা ধরা পড়েছে। গতকাল ‘মধু হই বিষ খাওয়াইলা’ গানটি সোশ্যাল মিডিয়া ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়। আর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা নেতিবাচক মন্তব্য শুরু হয়েছে। একজন লিখেছেন ‘এতো সুন্দর গানটিকে নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। ‘ আরেকজন লিখেছেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্রে ফের অশ্লীলতা নিয়ে আসা হচ্ছে, সাথে গানটিকেও অশ্লীল করে ফেলা হয়েছে। ‘
গানকে ‘বিকৃত’ ও বাজেভাবে উপস্থাপন করার পাশাপাশি গানের প্রকৃত গীতিকারকেও উপেক্ষা করা হয়েছে। এই চলচ্চিত্রে গানটি গেয়েছেন জুঁই নামের গায়িকা। কিন্তু কোথাও গানের গীতিকারের নাম উল্লেখ করা হয়নি। কিশোর জাহিদের কণ্ঠে গানটি ছড়িয়ে পড়লেও এই গানের গীতিকার নুরুল আলম।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।